আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনীতিতে অনীহা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

তিনি ছিলেন বিএনপির দাপুটে নেতা। ধানের শীষ প্রতীকে এমপি নির্বাচনে টানা তিনবার পরাজিত হয়েছে তিনি। এরপর জেলা বিএনপির সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েন। সুত্রের খবর রাজনীতিতে তার এখন অনীহা! বলছি কাজী মনিরুজ্জামানের কথা ! গেল শুক্রবার ঢাকায় বিএনপির (ঢাকা বিভাগীয়) মিটিংয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জানকে ডাকা হয়েছিলো। সেই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না কাজী মনিরুজ্জামান। তাতে কেন্দ্রীয় কিছু নেতা তার প্রতি অসন্তোষ। গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান তার নিজ ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছে পরাজিত হয় । তারাব পৌরসভার কাজীপাড়ায় কাজী মনিরুজ্জামানের ভোট কেন্দ্র। সেই কেন্দ্র নৌকা প্রতীকে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক পেয়েছেন ১হাজার ৩৯ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী মনিরুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬শ ৬৮ ভোট। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কাজী মনিরুজ্জামান জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে বাদ পড়েন। এলাকায় খুব কম এসেছেন। সুত্রের খবর তিনি আর্থিক সংকটের মধ্যে। আগামী নির্বাচনে রূপগঞ্জ আসন থেকে ধীনের শীষ প্রতীকে কে নির্বাচন করবে তা নিয়ে কথা হচ্ছে । কে হবে বিএনপির প্রার্থী এখন পর্যন্ত পরিস্কার হয়নি। কাকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাবে রূপগঞ্জ থানা বিএনপি তা পরিস্কার করেনি দলটির নেতারা। এক সময় কাজীর নেতৃত্বেই দলটির সবাই থাকত। এখন একের ভিতর অনেক । তারা আলাদা আলাদা দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন। কাজীর প্রতিপক্ষরা সক্রিয় হচ্ছে। স্থানীয় বিএনপি এবার প্রার্থী পরিবর্তন করার দাবি তুলছে। কোণঠাসায় তৈমূর সমর্থকরা। রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপিতে গ্রুপিং আর কোন্দল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আতাঁত থামছে না দলটির নেতাদের মধ্যে। তলে তলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিছু বিএনপি নেতা। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাপটে মাঠে থাকতে পারছে না তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির প্রথম সারির এক নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, দলীয় মিটিং ও কর্মসূচিতে কাজী মনির সাহেবকে ডাকা হলে তিনি সাড়া দেন না। নির্বাচনের পর তিনি এলাকায় খুব কম এসেছে। এবার সে সুযোগের সন্ধানে। দল যদি ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তিনি প্রার্থী হবেন। তা না হলে ভিন্ন কথা।

বিএনপির আরেক নেতা বলেন, কাজী মনিরুজ্জামানের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে দীপু ভুঁইয়া। তবে কাজীর শীষ্য নাসির থেমে নেই। আগামী নির্বাচনে তারাই ফাইট করবে।